Posted in খেয়াল করুন, জেনে রাখুন, দেশ ও জাতির প্রতি দ্বায়বদ্ধতা, প্রযুক্তি নিয়ে আউলা চিন্তা, ভালো লাগা, ভালোবাসা

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের একটি পাঠ্যবই এবং আমার পাঠক প্রতিক্রিয়া

“হায়! আমার মাথার চতুর্দিকে যদি চোখ বসানো থাকত, তাহলে আচক্রবালবিস্তৃত এই সুন্দরী ধরনীর সম্পূর্ণ সৌন্দর্য একসঙ্গেই দেখতে পেতুম” — আনাতোল ফ্রাঁস, ফরাসী ঔপন্যাসিক।

“সংসারে জ্বালা-যন্ত্রনা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে, মনের ভিতর আপন ভুবন সৃষ্টি করে নেয়া এবং বিপদকালে তার ভিতরে ডুব দেয়া। যে যত বেশী ভুবন সৃষ্টি করতে পারে, যন্ত্রনা এড়াবার ক্ষমতা তাঁর ততই বেশী হয়” — বারট্রান্ড রাসেল, ইংরেজ ঔপন্যাসিক।

“মনের চোখ বাড়ানো বা কমানো তো আমার হাতে। নানা জ্ঞানবিজ্ঞান যতই আমি আয়ত্ত করতে থাকি, ততই এক-একটা করে আমার মনের চোখ ফুটতে থাকে। পৃথিবীর আর সব সভ্যজাত যতই চোখের সংখ্যা বাড়াতে ব্যস্ত, আমরা ততই আরব্য উপন্যাসের একচোখা দৈত্যের মতো ঘোঁৎ ঘোঁৎ করি আর চোখ বাড়াবার কথা তুললেই চোখ রাঙ্গাই।” — সৈয়দ মুজতবা আলী, বাঙ্গালি সাহিত্যিক।

সৈয়দ মুজতবা আলী’র রম্যসাহিত্য ‘বই কেনা’ থেকে এই উদ্ধৃতিগুলো দিয়েই আমার আজকের এই লেখার শুরু করছি। আমি নিজে মূলত প্রযুক্তি বিষয়ক সচেনতনার কার্যক্রমে জড়িত থাকি, মুক্তপ্রযুক্তিকে ভালোবাসি, প্রযুক্তিতেই বাঁচি, প্রযুক্তি ব্যবহার করি, প্রযুক্তিতে জগতের মাঝে আটক পড়ে গিয়েছে আমার জীবনের সবটুকু। মুক্তপ্রযুক্তি’র জগতে আমার জ্ঞান-ধারনা-বক্তব্য গুলোকে লিখিত মাধ্যমে ধরে রাখতেই একটা সময়ে ব্লগ লিখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজের মাঝে থাকা কিঞ্চিৎ সাহিত্যপ্রেম আর সাহিত্য বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ফসলে ব্লগে কিছু কিছু লেখা লিখেছি যা আমার ব্যক্তিগত আবেগের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। তবে এসব কিছুই কিন্তু করা সেই উদ্ধৃতিগুলোর ধারনা থেকে, মানে মনের চোখের সংখ্যা বাড়াতে। অধিকাংশই নিজের জন্য আবার কখনোবা আমার চারপাশের আমজনতার জন্যেও।

সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছিলেন —

“মনের চোখ বাড়াবার পন্থাটা কি? প্রথমত – বই পড়া এবং তার জন্য দরকার বই কেনার প্রবৃত্তি।”

মনের চোখ ফোটানোর এই প্রয়োজনটা প্রতিনিয়তই উপলব্ধি করি। আর তাই নিয়মিত বই কিনি, বই ডাউনলোড করি। আর শুধু পড়ি বললে ভুল হবে, গোগ্রাসে বই গিলে থাকি। মাঝে মাঝে কাগজের ঠোঙ্গা, পুরনো খবরের কাগজ, বাচ্চাদের আঁকিবুকি করা কাগজও আমার কাছে প্রচন্ড আগ্রহের পাঠ্য হয়ে ওঠে।

বিগত ২৬শে মে ২০১৪ইং তারিখে জি+ বা গুগল প্লাসে প্রকৌশলী আদনান কাইয়ুম তানিমের পোষ্ট থেকে জানতে পারলাম যে বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষাপোযোগী হিসেবে “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বিষয়ক পাঠ্যবইটি প্রকাশিত হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি আমার প্রচন্ড আগ্রহের একটি বিষয়। আর তাই মনস্থির করে ফেললাম প্রকৌশলী আদনান কাইয়ুম তানিম কর্তৃক রচিত এই বইটি পড়বো বলে। যথা ভাবনা তথা কাজ। মুঠোফোন প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারে বাংলাবাজারে নিজের প্রকাশণা জগতের ভালোবাসা আর আত্মীয়তার সুত্রটাকে খুঁচিয়ে দিলাম, উদ্দেশ্য বইটাকে নিজ হাতে পাওয়া। হাতে পাওয়া মাত্রই বইটা পড়তে শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বইয়ের বহিঃসজ্জা বা প্রচ্ছদ পরিকল্পনাটা এতটাই সুন্দর হয়েছে যে নজর বেশ কিছুক্ষণ এই বহিঃসজ্জাতেই আটকে ছিলো।

ছোটবেলায় প্রচন্ড বদভ্যাস ছিলো। নতুন বই হাতে পেলেই সেটা পড়ে শেষ না করা অবদি নাওয়া-খাওয়া তো দূর, প্রকৃতির ডাকেও সাড়া দেয়া হতো না। মা জননী আমার পিছনে লেগে লেগে একসময় নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়তেন তবু পড়তে থাকা বইটার শেষ অক্ষরটা না পড়ে আমার কোন নড়নচড়ন হতো না। বইটাকে হাতে পেতেই যেনো আমার সময়কাল হুট করে প্রায় দেড়যুগ পেছনে চলে গেলো। কলেজ জীবনের রঙ্গীন দিনগুলো মনের ভেতরে রঙের ঘূর্নিঝড় তুলে দিলো। স্মৃতিকাতরতাকে পাশ কাটিয়ে একটার পর একটা পাতা উল্টেছি আর বইটির প্রতি চরম আকর্ষন বোধ করেছি। এই মোহবোধটুকু বজায় ছিলো বইয়ের শেষ পাতার শেষ দাড়িটুকু অবদি। প্রচন্ডরকম সুন্দর তথ্য উপস্থাপন, বর্ননার ধারাবাহিকতাটুকু ধরে রাখা আর বর্ননার ফাঁকে ফাঁকে ছবির ব্যবহার বইটাকে অত্যন্ত সহজবোধ্য করেছে। আমার কলেজ জীবনে এমন একটি বইয়ের অভাব এই সময়ে এসে হুট করেই আমাকে প্রচন্ডরকমের কষ্টে ফেলেছে। একই সাথে নতুন দিনের তথ্যপ্রযুক্তি সেনানীদের জীবনগঠনের সময়েই প্রযুক্তিজগতের বর্তমান সময়ের পেক্ষাপটে সঠিক ও সময়োপযোগী তথ্যসমৃদ্ধ, প্রাঞ্জল আর সহজবোধ্য এমন একটি বইয়ের প্রাপ্তিযোগে প্রচন্ডরকমের আনন্দও পাচ্ছি।

বইটির একেবারে শুরুতেই ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর সকল শাখার জন্য আবশ্যিক বিষয় হিসেবে “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” বিষয়ের সিলেবাসটি দেয়া হয়েছে। মোট ১৪০টি ক্লাস পিরিয়ড বা ৪০মিনিট থেকে ৪৫মিনিট ব্যপী একেকটি ক্লাসের মোট ১৪০টিতে এই বইটির তথ্য সম্পূর্ণরূপে শিক্ষার্থীরা আয়ত্ত করতে পারবেন এই বিশ্বাসটুকু বইটির শুরুতে যেভাবে বিবৃত হয়েছে তার ফলে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ পাঠ পরিকল্পনা চমৎকারভাবে করতে পারবেন বলেই বিশ্বাস করি। একই সাথে শিক্ষকদের জন্য তথ্যটা সময়োপযোগী এবং ব্যবহারবান্ধব হয়েছে বলে মনে করছি।

প্রথম অধ্যায়ে আলোচিত বিষয়গুলো তথ্যপ্রযুক্তির প্রাথমিক বিষয় বিধায় শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যিক ও জরুরী। লেখক নিজের অনলাইন ফোরাম ও ব্লগে ব্যবহারকারীদের সফটওয়্যার ব্যবহার সহযোগীতা দেবার অভিজ্ঞতায় অত্যন্ত সাবলীল ভাষার ব্যবহারে বিষয়গুলোকে অত্যন্ত প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপন করেছেন। আশা করি পাঠক-শিক্ষার্থীরা তথ্যগুলো জানবার সাথে সাথে বেশ আগ্রহ ও মজা পাবেন আর নিজেদের মগজের স্মৃতিকোষে তথ্যগুলো ধারনে সফল হবেন। এই অধ্যায়ের সবটুকু চমৎকার হলেও শেষাংশে এসে লেখক কিঞ্চিৎ গুবলেট করেছেন বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে। হ্যাকিং আর ক্র্যাকিং বিষয় দুটো পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন না করে লেখক নৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্তির মধ্যে রাখবার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। একই সাথে ২০১১ইং সাল থেকে উন্মুক্তপ্রযুক্তি অপারেটিং সিস্টেম হিসেব ডেস্কটপে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও ব্যবহারবান্ধব “লিনাক্স মিন্ট”, সার্ভার জগতে ডেবিয়ান এবং সর্বোপরি জিএনইউ-লিনাক্স এর উল্লেখ না থাকাটাও অনেকাংশেই উইন্ডোজের উপরে নির্ভরশীল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তপ্রযুক্তির জগতে আসতে বা তাল মিলিয়ে চলতে কিছুটা হলেও বাধা দেবে বলে আশংকা করছি। এই তথ্যবিভ্রাটগুলো একজন উন্মুক্ত প্রযুক্তি আন্দোলনকারী, মুক্ত পেশাজীবি তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক হিসেবে আমাকে প্রচন্ড আহত করেছে।

দ্বিতীয় অধ্যায়ের বিষয়বস্তুগুলোও অত্যন্ত সাবলীল ভাষায়, চমৎকারভাবে বর্ননার ফলে শিক্ষার্থীদের মগজের নিউরনে অনুরণন তুলবে বলেই আশা রাখি। তবে তারবিহীন যোগাযোগ প্রযুক্তির অংশ হিসেবে বহুল প্রচলিত ওয়াইফাই প্রযুক্তি’র তথ্যে সাম্প্রতিককালীন ও ব্যবহারিক তথ্যগুলো যুক্ত না থাকায় এই অধ্যায়ের এই অংশটাও তথ্যবিভ্রাটের সৃষ্টি করেছে। একই সাথে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক ডিভাইস অংশে প্রাচীন বা বিলীণ হয়ে যাওয়া কিছু যন্ত্রাংশের তথ্য অপ্রয়োজনীয় বা বাহুল্য হিসেবে বোধ হয়েছে আমার কাছে।

তৃতীয় অধ্যায়টা আমার কাছে এই বইয়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সবচাইতে কঠিনবোধ্য অধ্যায় বলেই মনে হয়েছে। তবে লেখক নিজের স্বভাবজাত সাবলীল বর্ননায় এই অধ্যায়ের প্রতিটা বিষয়কে এত সুন্দর আর সহজবোধ্য করে তুলেছেন যে লেখার শুরুতে এইরকমের একটা বইয়ের যে অভাববোধের আফসোস আমার মাঝে হয়েছে বলে জানিয়েছিলাম আপনাদেরকে সেটা এইখানেতেই জন্ম নিয়েছে। শুধুমাত্র উচ্চমাধ্যমিক স্তরেই নয় বইটি স্নাতকস্তরের প্রথম সেমিষ্টারের অনেক শিক্ষার্থীদের জন্যেও বিশেষ উপযোগী হবে বলে আমার ধারনা। আমি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন স্নাতকস্তরের শিক্ষার্থীকে বইয়ের এই অধ্যায়ের বুলিয়ান অ্যালজেব্রা আর গেইট অংশটুকু পড়তে দিয়ে তারপর মন্তব্য করতে বললে তাঁরা নিজেদের শিক্ষকদের ক্লাসে বসে বোঝা জ্ঞানের চাইতে এই বইয়ের বর্ননার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানটাকে বেশ সহজ শিক্ষনীয় ও সহজবোধ্য বলে মতপ্রকাশ করেন।

চতুর্থ অধ্যায়টুকু বর্তমান সময়ে এসে আউটসোর্সিং নেশায় পেয়ে বসা বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও আগামীদিনের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের জন্যে বিশেষ উপযোগী হয়েছে। শুধুমাত্র এই অধ্যায় থেকে যেটুকু শিখবে একজন শিক্ষার্থী সেটুকুই মুক্তবাজার অর্থনীতির এই বর্তমান সময়ে এসে মুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী হিসেবে পথ চলায় তাঁর সহায়ক হতে পারে।

পঞ্চম অধ্যায়ে প্রোগ্রামিং ভাষা সম্পর্কিত আলোচনা আর সাথে কোডব্লকস আইডিইটার পরিচিতি নবীন তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের বেড়ে ওঠায় বিশেষ সহযোগীতা দেবে বলেই বিশ্বাস করি।

ষষ্ঠ অধ্যায়ে আলোচিত ডাটাবেজ বা তথ্যভান্ডার সম্পর্কিত আলোচনাগুলো বেশ সহজবোধ্যই হবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের একজ শিক্ষার্থীর কাছে। উন্মুক্ত প্রযুক্তিভিত্তিক আর ইউনিকোড সাপোর্টেড লিব্রে অফিস বেজ এর ব্যবহারে শিক্ষার্থীরা পাবেন বাংলাতে তথ্য সংরক্ষণ করার আবেগের প্রতিফলিত আনন্দ। ষষ্ঠ অধ্যায়ের শেষে ক্রিপ্টোগ্রাফি অংশে জিএনইউপিজি নিয়ে কিছু তথ্যযোগ করা গেলে আরো ভালো হতো বলেই বিশ্বাস করি।

চতুর্থ, পঞ্চম আর ষষ্ঠ এই তিনটে অধ্যায় থেকে অর্জিত জ্ঞান অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষার্জনকালীন খরচ যোগাতে সহায়ক হতে পারে। শিক্ষার পাশাপাশি অবসর সময়ের মেধাশ্রমের মাধ্যমে বেশ ভালো আয়ের উপকরণ হতে পারে এই জ্ঞান।

বইটির প্রতি অধ্যায়ের শেষে রয়েছে অত্যন্ত চমৎকার কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন। এই অংশটায় লেখক বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় রচিত প্রতিটা বইয়ের চাইতে বেশ কিছু বাড়তি কিছু উপাদানের যোগ ঘটিয়েছেন, যেমনঃ মুক্তিযুদ্ধকালীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্য এবং দেশপ্রেমী মানসিকতার বিকাশ। যা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের জন্যেই সমভাবে ব্যবহারবান্ধব ও সময়োপযোগী হয়েছে বলেই আমি মনে করছি।

সম্পূর্ণ উন্মুক্ত প্রযুক্তি ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যারের ব্যবহারে রচিত বাংলা ভাষার এই বইটি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সরকারী বা বেসরাকারী কলেজগুলোতে পাঠ্য করা হলে শিক্ষার্থীরা সাম্প্রতিককালীন প্রযুক্তিজগতের সাথে সহজেই তাল মিলিয়ে শিক্ষার্জন করতে পারবেন বলে বিশ্বাস করি। একই সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নেয়া অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প থেকে সরকারী স্কুল-কলেজগুলোয় দেয়া কম্পিউটারগুলোয় উবুন্টু তথা জিএনইউ/লিনাক্স তথা উন্মুক্ত প্রযুক্তি ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম তথা সফটওয়্যারগুলোর সাথে শিক্ষার্থীরা পরিচিত ও ব্যবহারবান্ধবতায় অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারবেন বলেই মনে করি। কিছু কিছু বানানের ভুল (মুদ্রনজনিতও হতে পারে) আর মোটা হরফের অক্ষরগুলোর ছাপা ঘোলাটে বা জাবড়ে যাওয়ার ত্রুটিটুকু হিসেবের মধ্যে না নিলেও চলে।

পরিশেষে বলতে চাই উপরের লেখাটুকু বইটির একজন পাঠক হিসেবে আমার তাৎক্ষণিক ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া বা মতামত মাত্র। আর তাই লেখার মধ্যে শব্দের প্রয়োগে বা বাক্যগঠনে অনেক সমস্যা থাকতেই পারে। হয়তোবা লেখক, প্রকাশক এটাকে কোনরূপ সমালোচনা বা মূল্যায়ন হিসেবে নিয়ে আহতবোধ করতে পারেন। তেমনটা হয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমার এই মতপ্রকাশের উদ্দেশ্য লেখকের কাজের মানের মানোন্নয়ন ঘটাতে সহায়তা করা। বিদ্রুপ করা কিংবা উপহাসের মাধ্যমে লেখকের কর্মস্পৃহাকে ধ্বংস করা কিংবা বাধাগ্রস্ত করার কোনরূপ কিছু আমার লেখনীটুকুতে মনে হলে আন্তরিকভাবে আবারো লেখক ও প্রকাশকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।

লেখক:

রান্না করা, কম্প্যুটিং, ক্রিকেট

4 thoughts on “উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের একটি পাঠ্যবই এবং আমার পাঠক প্রতিক্রিয়া

  1. চমতকার বিশ্লেষন! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বইটির সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরার জন্য। বইটির মানোন্নয়নের জন্য এইরকম মতামতই দরকার ছিল আমার। আপনার ধরিয়ে দেয়া বিষয়গুলো টুকে রাখলাম। ইনশাল্লাহ পরবর্তী সংস্করণে পরিমার্জনা করে দেব। আবারও ধন্যবাদ!

  2. রিং ভাই , বইটি না পড়ে ও আপনার লেখা থেকে বইটি সম্পকে অনেক কিছু জানতে পারলাম. আর অভ্রনীল – Adnan Quaium ভাইয়ের লেখা পরে পরেই প্রথমে লিনাক্স শিখেছি ………..

  3. বইটা সম্পর্কে আরো আগেই জানতে পেরেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পড়ার সুযোগ হয়নি।
    আপনার লেখাটি পড়ে মনে হচ্ছে বইটা সংগ্রহ করতেই হবে।
    চমৎকার রিভিউর জন্য ধন্যবাদ।

Sagir Hussain Khan এর জন্য একটি উত্তর রাখুন জবাব বাতিল

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.