Posted in খেয়াল করুন, জেনে রাখুন, দেশ ও জাতির প্রতি দ্বায়বদ্ধতা, প্রযুক্তি নিয়ে আউলা চিন্তা, ভালো লাগা, ভালোবাসা

“লিনাক্স ডে – ২০১১” – বাংলাদেশ, কুড়ি বছর পূর্তির উৎসব আয়োজন


১৯৯১ সালের ২৫শে আগস্ট, হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তির এক ছাত্র লিনুস টরভ্যাল্ডস ঘোষনা দেন উন্মুক্ত সোর্স ভিত্তিক কার্নেল “লিনাক্স” রিলিজের। সেই থেকে আজ অবধি লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম সারা বিশ্বের সার্ভারের জগৎটা দাপিয়েই বেড়াচ্ছে। কিন্তু লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমগুলো এখন আর শুধুই সার্ভারের জগতেই সীমাবদ্ধ নয়। এই বিষয়টা প্রযুক্তিপ্রেমী সব বাংলাদেশী কে জানাতে, বোঝাতে এবং ডেক্সটপ দুনিয়ায় লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের বীরত্বপূর্ণ সাফল্য গাঁথার কিছু ইতিহাস সবার সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ (Foundation for Open Source Solutions Bangladesh) বা সংক্ষেপে এফওএসএস বাংলাদেশ (FOSS Bangladesh) এবছরে লিনাক্সের ২০ তম জন্মবার্ষিকীতে “লিনাক্স ডে – ২০১১” উদযাপন করতে যাচ্ছে। আপনি যদি প্রযুক্তিপ্রেমী হোন এবং লিনাক্স সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকেন তো চলে আসুন আমাদের এ আয়োজনে।

আয়োজনের তারিখ ও সময়: ২৫ শে আগস্ট ২০১১ইং, বৃস্পতিবার। সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে আয়োজন।
আয়োজন স্থল: ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র বা টিএসসি (লবি ও গেমস রুম), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আয়োজনের বিস্তারিত সূচী:
১। সকাল ১০টায় ব্যানার-ফেস্টুন সহ পদযাত্রা/শোভাযাত্রা শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে থেকে শুরু হয়ে, রাজু ভাস্কর্য, শহীদ মিনার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র পাখি চত্বরে এসে শেষ হবে।
২। সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী টিএসসির করিডোর আর লবিতে বিভিন্ন ধরনের লিনাক্স ডিস্ট্রোর ইতিহাস আর চিত্রসহ ডঙ্গল, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে প্রদর্শনী চলবে এবং এ আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
৩। আরো থাকছে ওপেন সোর্স এবং লিনাক্স নিয়ে আমাদের এবং দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংগঠনের সেবামূলক কাজকর্মের ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, দিনব্যাপী।
৪। বিকাল ৪টা থেকে শুরু হবে আমন্ত্রিত অতিথি ও দশর্কদের মাঝে মত বিনিময় এবং আলোচনা অনুষ্ঠান।
৫। এছাড়াও আয়োজনস্থলে বিভিন্ন জনপ্রিয় লিনাক্স ডিস্ট্রোগুলোর পেনড্রাইভ বা পছন্দের মিডিয়াতে অথবা সিডি/ডিভিডিতে বিতরনের ব্যবস্থা থাকবে।

আয়োজনে আপনার যোগদান নিশ্চিত করতে এই ফর্মে আপনার তথ্য যুক্ত করে দিন।

আপডেট: আয়োজনের কিছু ছবি

Posted in নির্বাক যন্ত্রনা, বেদনার নীল রং

বেদনার নীল রং কতটা নীল?


১লা আগষ্ট ১৯৯৭ইং রোজ শুক্রবার, সন্ধ্যে ৬টা ২৫মিনিট
সারাটা দিন যে ভয়টা পাচ্ছিলাম ছিলাম তা অতিবাস্তব করে দিয়ে চলে গেলেন আমার দাদাজান আব্দুর রহিম জোয়ারদার। দিন সাতেক আগেই আমার এসএসসি’র ফলাফল শুনে যে দাদাজান, বাবাকে বারবার বলছিলেন, “ওকে ডাক্তার বানাস বাবুল, ওকে ডাক্তার বানাস। ওর মাথা খুব শার্প।” সেই দাদাজান নির্বাক হয়ে গেলেন আজীবনের জন্য। আমার কথাটা একটা বারের জন্যেও ভাবলেন না?

শেষের দেড় মাসে আপনার সাথে যে মধুর সময় গুলো কাটিয়েছিলাম তা বোধহয় আপনার আর কোন নাতি-নাতনিই পারেনি। আপনার আর দাদীজানের যুগলবন্দী জীবনের প্রথম দিককার কথাগুলো বোধহয় শুধুমাত্র আমার সাথেই মজার মজার কথায় ভাগ করে নিয়েছিলেন। আপনাকে বদরাগী বলে জ্ঞান করেই আপনার বড় ছেলে, আমার বাবা আজীবন আপনার থেকে দূরে দূরেই থেকে গেলেন। কিন্তু আমি জানি আপনি কতটা মজার মানুষ ছিলেন। কতটা বড় ছিলো আপনার মন আর মনের জোর। আপনার থেকে পাওয়া সেই শক্তিটাকে সম্বল করেই আজো আমি জীবনের পথে সচল। আপনি আমাকে কিছু না বলেই হুট করে চলে যেতে পারেন, কিন্তু আপনাকে আমি ভুলি কি করে বলতে পারেন?

৬ই আগষ্ট ২০১১ইং রোজ শনিবার, রাত ১১টা ৩৫মিনিট
বাসায় ঢুকলাম এই একটু আগেই। নেয়ে-খেয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছি মাত্রই। ফুপাতো ভাই আওরঙ্গজেব মুঠোফোনে বাবাকে গ্রামের বাড়ীতে যাবার অনুরোধ জানাচ্ছেন। রাত তিনটার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে আরিচা রোডে দাঁড়ালে গাড়ীতে তুলে নেবেন বলছেন। বুঝলাম মাথার উপর থেকে আরো একজন মুরুব্বীর স্নেহের-আদরের-ভালোবাসার-মমতার চিরশীতল ছায়াটা সরে গেলো।

বছর পাঁচেক হলো, বাবা সাধারনত এ ধরনের সংবাদ সরাসরি আমাকে দেন না, কমসে কম ঘন্টা চারেক পর করে মা’কে দিয়ে অনেক ভাবে বুঝিয়ে বুঝিয়ে বলান। আজো তাই। চুপচাপ বারান্দায় এসে হাঁটছিলেন। মাঝে আমার জানালায় বার দু’য়েক ঊঁকিঝুঁকি দিলেন। বাবাকে আমিই সহজ করে দিলাম — “আব্বা, কে মারা গেলেন?”

না ফেরার দেশে চলে গেলেন আমার বাবার চাচাতো বড় ভাই, আমার প্রিয় চাচাদের একজন আকমল চাচাজান, আকমল জোয়ারদার। চার বছর আগে দাদাজানের কবরে জিয়ারত করতে গিয়েছিলাম, আপনি অতি আদরে কাছে ডেকে নিয়ে আমার খোঁজ নিয়েছিলেন… খুউব মনে আছে। কাছে বসিয়ে দুপুরের খাবার খেতে বলছিলেন বারবার। আপনার আম্মা, দাদীজান তখনো বেঁচে। দু’জনেই আমার বাবাকে বাবুল নামে একডাকে চিনতে পারছিলেন কিন্তু আমার সাথে কি যেনো মেলাতে পারছিলেন না। বারবার বলছিলেন ২০০১ এ আপনাদের দেখা আমি আর ২০০৭ এর আমি নাকি এক নই। মাথার ঘন চুল গিয়ে সেখানে বিশাল চকচকে টাক, হাঁটাচলায় স্থবির আর নিস্তেজ ভাব, শারীরিক ভঙ্গিমায় অবসাদ সব মিলিয়ে আমি যেনো কেমন হয়ে গিয়েছি, ঠিক যেনো আমার বড় দাদাজানের (দাদার বড়ো ভাই) মতো হয়ে গিয়েছি।

দাদা কে তাঁর মায়ের পায়ের নীচে সেই ৯৭তে শায়িত করে আসার পরপর বড় দাদাজানও তিন মাসের বেশী টেকেননি। রোজ নিজের ছোটভাই(আমার দাদাজান)য়ের কবরে এসে দাঁড়িয়ে থাকতেন, কাঁদতেন, নাওয়া-খাওয়া হতো না।

হয়তো আমার দাদাজানের পাশাপাশি না হয়ে বরং খুব কাছাকাছিই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন প্রিয় আকমল চাচাজান। কেননা দাদাজানের পাশের জায়গাটুকু আমার প্রিয় দাদীজানের জন্য রাখা ছিলো। ঠিক তার আট বছর পর, আমার স্ট্রোকের পরপর দাদীজান সেটার স্বত্বঃত্যাগ করে দিয়েছেন, যদি আমিই তাঁর আগে বিদায় নেই তো ওটা …।
…..
শারীরিক কারনেই ওই সাক্ষাতের পরে আপনার সাথে আর দেখা করা হয়ে ওঠেনি, তাই বলে কি আমাকে এভাবেই ফাঁকি দিলেন?
…..
খুব কষ্ট পাচ্ছি চাচাজান। খুব কষ্ট। বাহিরে অঝোরে ঝরছে বারিষধারা, সাথে আমার চোখেও। জল নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাতেও কোন গন্ডগোল হচ্ছে মনে হয়।
…..
আল্লাহ আপনাকে ওপারে চিরশান্তিতে রাখুন। …

Posted in খেয়াল করুন, জেনে রাখুন, দেশ ও জাতির প্রতি দ্বায়বদ্ধতা, প্রযুক্তি নিয়ে আউলা চিন্তা, ভালো লাগা, ভালোবাসা

“পেঙ্গুইন মেলা – ২০১১” – ইউআইইউ’র আয়োজন


দেশকে সফটওয়্যার পাইরেসীর কলংক থেকে মুক্তি দিতে ও গ্লানি মুক্ত করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে দামী সফটওয়্যার চুরির মনোবাসনা আমাদের সবাইকেই পরিত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সকল ছাত্র-জনতার পক্ষে দামী সব সফটওয়্যার ক্রয় করে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই এর বিকল্প হল ওপেন সোর্স এবং ফ্রী সফটওয়্যারগুলো। উন্মুক্ত বা ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের সুবিধা হল এর উৎসের কোডগুলো সকলে দেখতে পারে, ফলে লুকিয়ে কোন ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম এতে দেয়া আছে কি না তা সহজেই বের করা যায়, যা নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সোর্সকোড উন্মুক্ত বলে আগ্রহী শিক্ষার্থী ও প্রযুক্তিবিদগণও এ থেকে অত্যন্ত উপকৃত হতে পারেন। উন্মুক্ত সোর্স আর মুক্ত সফটওয়্যার বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ মানোন্নয়ন করতে পারেন আর এজন্য এগুলো খুব দ্রুতই উন্নত আর ব্যবহারবান্ধব হয়ে ওঠে। দেশকে পাইরেসীর গ্লানি ও কলংক মুক্ত করার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসেবে ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ বা FOSS Bangladesh (এফওএসএস বাংলাদেশ), দেশে মুক্ত সফটওয়্যার প্রসারের লক্ষ্যে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী একটা সংগঠন।

এই সংগঠন এর বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে নিয়মিতভাবেই জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা, রংপুর ও সিলেট বিভাগের পরে এবার এরই ধারাবাহিকতায় জেলা ভিত্তিক আয়োজন করা হচ্ছে “পেঙ্গুইন মেলা – ২০১১”। বর্তমানে এ কার্যক্রম চলছে ঢাকা জেলায়। শীঘ্রই দেশের অন্যান্য জেলায় এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হবে।

দূর্নীতির গ্লানিমুক্ত, উন্মুক্ত সোর্স ও মুক্ত প্রযুক্তি নির্ভর, সুখী-সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও সম্মানজনক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ (এফওএসএস বাংলাদেশ) ৭ই আগষ্ট, রবিবার সকাল ১০:৩০মিনিট থেকে দুপুর ১৩:৩০মিনিট পর্যন্ত ঢাকার ধানমন্ডির রোড নং-৮/এ তে অবস্থিত ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর মিলনায়তনে উন্মুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা এবং উপকারীতা নিয়ে একটি জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান “পেঙ্গুইন মেলা – ২০১১”র আয়োজন করতে যাচ্ছে। আয়োজনে সহযোগীতা করছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার ক্লাব।

আয়োজনের বিস্তারিত :

অনুষ্ঠানের শিরোনাম : “পেঙ্গুইন মেলা – ২০১১” – ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
তারিখ : ৭ই আগষ্ট ২০১১ইং, রোজ রবিবার, সকাল ১০:৩০মিনিট থেকে দুপুর ১৩:৩০ মিনিট
স্থান : ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ধানমন্ডি, ঢাকা।
আয়োজক : ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ
সহযোগীতায় : ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কম্পিউটার ক্লাব।

অনুষ্ঠানসূচীঃ (মোট ৩ ঘন্টা)
* লিনাক্স পরিচিতি, ইনস্টলেশন ও ব্যবহার
(দুপুর ২:০০মিনিট থেকে বিকাল ৩:৩০ মিনিট)
o মুক্তসোর্স ও লিনাক্স পরিচিতি — ৩০ মিনিট
o লিনাক্স মিন্ট পরিচিতি — ৩০ মিনিট
o লিনাক্স মিন্ট ইন্সটল ও কনফিগার করা — ৩০ মিনিট
* চা-বিরতি — ১০ মিনিট
* লিনাক্স ব্যবহার করতে গিয়ে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান
(বিকাল ৩:৪০মিনিট থেকে বিকাল ৫:০০ মিনিট)
o উপস্থিত দর্শকদের অংশগ্রহনে আলোচনা — ৪০ মিনিট
o প্রশ্নোত্তর ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান — ৪০ মিনিট

উক্ত অনুষ্ঠানে পাইরেসি, ওপেনসোর্স ও লিনাক্স বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি আগত দর্শকদের সাথে সরাসরি মতামত বিনিময় ও আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠানস্থল থেকে ওপেনসোর্সড থ্রি-ডি গেমসহ লিনাক্স মিন্ট ১০ জুলিয়া’র সংকলিত ডিভিডি (প্রতিটি ডিভিডি ৫০ টাকা মাত্র) সহ লিনাক্স ভিত্তিক আরো নানান ডিস্ট্রোর আইএসও পেনড্রাইভ সহ পছন্দের মিডিয়ায় সংগ্রহ করা যাবে। উন্মুক্ত এ আয়োজনে আগ্রহী যে কেউ এই অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

যেসব ব্লগ ও ফোরামে এই আয়োজনের সংবাদ পাবেন — শামীম ভাইয়ের ব্যক্তিগত ব্লগ (খিচুড়ী ব্লগ), প্রজন্ম ফোরাম , আমাদের প্রযুক্তি, টেকটিউনস, আড্ডার আসর, রংমহল, আইটেক বাংলা, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের বাংলা ফোরাম (আরএমসি ফোরাম), লিনাক্সদেশ ফোরাম, রংধনু এবং ডিজিটাল দুনিয়া‘য়।

আপডেট: আয়োজনের কিছু ছবি